নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০৫ ( ধীরে ধীরে তেলাওয়াত করা)

 

নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০৪

নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০৩

নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০৫ 

( আস্তে, ছন্দে (তারতীল) এবং যত্নসহকারে তিলাওয়াত করা)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

اَوۡ زِدۡ عَلَیۡہِ وَرَتِّلِ الۡقُرۡاٰنَ تَرۡتِیۡلًا ؕ 

অথবা তদপেক্ষা বেশি। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে;

—আল মুয্‌যাম্মিল - ৪

রাসূলুল্লাহ (সা্ঃ) এর তেলাওয়াত ছিল স্পষ্ট এবং প্রত্যেকটি অক্ষর আলাদা করে উচ্চারিত (মুসনাদ আহমাদ, /২৯৪) রাসূলুল্লাহ (সা্ঃ) এক একটি সূরা এত ধীর ছন্দোময় সুরে পড়তেন যে এটা যে সময়ের মধ্যে সম্ভব হবে বলে মনে হতো তার চেয়ে বেশি সময় লেগে যেত (মুসলিম, ৭৩৩)

ধীর এবং সুবিবেচিত বা পরিমিত তেলাওয়াত খুশ উন্নয়নে সহায়তা করে এবং খুশু কে গতিশীল রাখে অন্যদিকে, দ্রুত এবং তাড়াহুড়ো তেলাওয়াত নামাজে খুশুর অন্তরায় এবং খুশু কে বাধাগ্রস্থ করে

খুশু লাভের আর একটি উপায় হলো সুললিত কন্ঠে তেলাওয়াত করা এটা রসূলুল্লাহ (সা্ঃ) এর উপদেশ তিনি বলেন, তোমাদের কন্ঠ দ্বারা কুরআনকে সৌন্দর্যমন্ডিত কর কারণ, সুন্দর কন্ঠ কুরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ( মুসতাদরাক আল হাকিম, /৫৫৭)

কন্ঠ দিয়ে কুরআন সুন্দর করার অর্থ এই নয় যে, স্বরগুলোকে বিকৃত করে দীর্ঘায়িত করে পড়া সুর (tone) দিয়ে সৌন্দর্য মন্ডিত করার অর্থ হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ভয়মিশ্রিত স্বর (voice) দিয়ে তেলাওয়াত করা ব্যাপারে রসূলুল্লাহ (সা্ঃ) বলেন, যাদের তেলাওয়াত শুনে তোমার মনে হবে যে তারা আল্লাহকে ভয় করে বা তাদের ভেতর আল্লাহর ভয় আছে, তোমাদের মধ্যে তাদের তেলাওয়াতই সুন্দর এবং সুললিত (ইবনে মাজাহ, /১৩৩৯)






Post a Comment

0 Comments