নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০৩ (নামাজে পড়া আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা করা)

 

নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০১                                    

নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০২


নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০৩ 
( নামাজে পড়া আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা করা, স্মরণ করা, মনে মনে বলা এবং তার সাথে মিলে একাকার হয়ে যাওয়া)



কুরআন নাজিল করা হয়েছে যাতে মানুষ এটা নিয়ে চিন্তা করে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

کِتٰبٌ اَنۡزَلۡنٰہُ اِلَیۡکَ مُبٰرَکٌ لِّیَدَّبَّرُوۡۤا اٰیٰتِہٖ وَلِیَتَذَکَّرَ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ 


এক কল্যাণময় কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এটার আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ গ্রহণ করে উপদেশ।

—ছোয়াদ - ২৯

কিন্তু সে যা পড়ছে এর অর্থ যদি না জানে তবে কিভাবে সে এটা নিয়ে চিন্তা করবে? এটা কিভাবে তার চোখে পানি আনবে? কিভাবে সে নিজেকে পরিবর্তন করবে? আল্লাহ তায়ালা বলেন,

 وَالَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِّرُوۡا بِاٰیٰتِ رَبِّہِمۡ لَمۡ یَخِرُّوۡا عَلَیۡہَا صُمًّا وَّعُمۡیَانًا 

এবং যারা তাদের প্রতিপালকের আয়াত স্মরণ করিয়ে দিলে এর প্রতি অন্ধ এবং বধিরসদৃশ আচরণ করে না,

—আল ফুরকান - ৭৩

এখানে তাফসির পড়ার গুরুত্ব কত তা বলা হয়েছে ইবনে জারীর () বলেন, আমার সেই সব লোকদেরকে খুব অবাক লাগে যারা কুরআন পড়ে অথচ এটা বুঝে না কিভাবে তারা কুরআন উপভোগ করতে পারে?

( মুকাদ্দিমাতু তাফসির আত তাবারীমাহমুদ শাকীর, /১০)

অতএব কুরআন তেলাওয়াতকারী প্রত্যেকেরই তাফসির পড়া উচিত তা যতই ছোট হোক একটি ছোট সূরার ( সূরা মাউন, কাওছার) তাফসির পড়তে কতটুকু সময়ই আর লাগে?

হযরত হুযাইফা (রা) বলেন, আমি রাসূল (সা) এর সাথে কোন এক রাতে সালাত/নামাজ পড়ছিলাম এবং তিনি বেশ সময় নিয়ে তেলাওয়াত করছিলেন কোন আয়াতের সাথে তাসবিহ থাকলে তিনিসুবহানাল্লাহবলতেন, আবার প্রশ্নযুক্ত আয়াত হলে তিনি প্রশ্ন করতেন যেসব আয়াতে আশ্রয় প্রার্থনাযুক্ত হতো তিনি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করতেন ( সহিহ মুসলিম, ৭৭২)

কুনাই আবু আব্দুল্লাহ নামে কায়েস এর এক ব্যক্তি বলেন, একদা রাতে আমরা আল হাসানের সাথে ছিলাম তিনি ঘুম থেকে উঠে রাত্রে নামাজ শুরু করলেন বিরতি না দিয়ে তিনি এই আয়াত পড়তেই থাকলেন,--

 وَاٰتٰىکُمۡ مِّنۡ کُلِّ مَا سَاَلۡتُمُوۡہُ ؕ  وَاِنۡ تَعُدُّوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ لَا تُحۡصُوۡہَا ؕ  اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَظَلُوۡمٌ کَفَّارٌ ٪ 

এবং তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন তোমরা তাঁর নিকট যা কিছু চেয়েছ তা হতে। তোমরা আল্লাহ্ র অনুগ্রহ গণনা করলে এর সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। মানুষ অবশ্যই অতিমাত্রায় জালিম, অকৃতজ্ঞ।

—ইব্রাহীম - ৩৪

সকাল হলে আমরা তাকে বললাম, ওহে আবু সায়ীদ! তুমি অন্য কোন আয়াত ছাড়া সারারাত এই একটি মাত্র আয়াত পড়লে যে ! তিনি বললেন, এই আয়াত থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি, এর ভিতর আমি আল্লাহর দয়া ছাড়া অন্য কিছু দেখি না অথচ আল্লাহর রহমত অনেক দূরে বলে আমরা মনে করি

( আত তিজকার লিল কুরতুবী, ১২৫)

কুরআনের অর্থ চিন্তা করার আর একটি উপায় হলো, এটা মুখস্থ করা এবং বিভিন্ন নামাজে এর বিভিন্ন অংশগুলো পড়া এতে সমস্ত বিষয়ের উপর একটা দখল আসে এবং অনেক কিছু বুঝা যায়






Post a Comment

0 Comments