আরবি ব্যাকরণ শিক্ষা A to Z ( ২য় পাঠ- আরবি ভাষায় বর্ণের পরিচয় ও প্রকারভেদ/ ইলমুল ইমলা) Learn Arabic Grammar/Part-02

 

২য় পাঠ- ১.১/ علم الاملاء  (ইলমুল ইমলা)/ বর্ণপ্রকরণ

আরবি ব্যাকরণ শিক্ষা A to Z ( ২য় পাঠ- আরবি ভাষায় বর্ণের পরিচয় ও প্রকারভেদ/ ইলমুল ইমলা) Learn Arabic Grammar/Part-02


علم الاملاء  (ইলমুল ইমলা) এর পরিচয়:

আরবি বর্ণমালা সম্পর্কিত জ্ঞান হলো- علم الاملاء  (ইলমুল ইমলা):

ভাষা লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে الحروف الهجاءية  (আল হুরুফুল হিজাইয়াহ) বা আরবি বর্ণমালা বলে আরবিতে বর্ণমালা মোট ২৯ টি

উচ্চারণের দিক থেকে বর্ণমালার প্রকারভেদ:

উচ্চারণের দিক থেকে বর্ণমালা দুভাগে বিভক্ত যথা-

. ‍حروف العلة  (হুরুফুল ইল্লাত) বা স্বরবর্ণ   . حروف الصحيحة (হুরুফুস সহিহা) বা ব্যঞ্জনবর্ণ

. ‍حروف العلة  (হুরুফুল ইল্লাত) বা স্বরবর্ণ  এর পরিচয়: যে সকল বর্ণ উচ্চারণ করলে দন্ত, মুখ জিহ্বার কোথাও স্পর্শ করে না, সেগুলোকে  حروف العلة  (হুরুফুল ইল্লাত) বা স্বরবর্ণ  বলে এর ইংরেজি হলো Vowel. আরবিতে এরুপ বর্ণ তিনটিঃ  و ـ ا ـ ي

. حروف الصحيحة (হুরুফুস সহিহা) বা ব্যঞ্জনবর্ণ এর পরিচয়: যে সকল বর্ণ একাকী উচ্চারিত হতে পারে না, বরং حروف العلة  (হুরুফুল ইল্লাত) এর সহযোগীতার প্রয়োজন হয়, তাকে حروف الصحيحة (হুরুফুস সহিহা) বা ব্যঞ্জনবর্ণ বলে এর ইংরেজি হলো Consonant.

আরবিতে এরুপ বর্ণ ২৬ টি হরফে ইল্লাতের ৩ টি বাদে বাকি ২৬ টি হরফ হলো হরফে সহিহ

মোটকথা, আমরা বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণে স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণ পড়েছি সেগুলোরি আরবি রুপ হলো- হরফে ইল্লাত আর হরফে সহিহ

তাহলে বলা যায়, বাংলায় স্বরবর্ণ ১১ টি, আরবিতে ৩ টি, ইংরেজিতে ৫ টি এবং বাংলায় ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি, আরবিতে ২৬ টি, ইংরেজিতে ২১ টি

শব্দের শুরুতে আলিফ, লাম যুক্ত হলে লাম উচ্চারিত হওয়া না হওয়ার দিক থেকে আরবি বর্ণমালা আবার ২ প্রকার:

الحروف الشمسية  (আল হুরুফুশ শামসিয়্যাহ): যে সকল বর্ণের শুরুতে আলিফ, লাম যুক্ত হলে লাম উচ্চারিত হয় না বরং বর্ণটির দ্বিত্ব উচ্চারিত হয় তাকে الحروف الشمسية  (আল হুরুফুশ শামসিয়্যাহ) বলে যেমন- الشمس (আশ শামস) অর্থ সূর্য, এখানে শামস না হয়ে শামস উচ্চারিত হয়েছে অর্থ্যাৎ লাম এর উচ্চারণ হয়নি সরাসরি শিন ش হরফের দ্বিত্ব উচ্চারিত হয়েছে

الحروف الشمسية  (আল হুরুফুশ শামসিয়্যাহ) মোট ১৪ টি যথা-

ت ـ ث ـ د ـ ذ ـ رـ ز ـ س ـ ش ـ ص ـ ض ـ ط ـ ظ ـ ل ـ ن

الحروف القمرية   (আল হুরুফুল ক্বমারিয়্যাহ): যে সকল বর্ণের শুরুতে আলিফ, লাম যুক্ত হলে লাম উচ্চারিত হয়, তাকে الحروف القمرية   (আল হুরুফুল ক্বমারিয়্যাহ) বলে

যেমন- القمر (আল ক্বমার) অর্থ চাঁদ,  এখানে আক ক্বমার হয়নি যেমন আশ শামস হয়েছিল বরং এখানে লাম সরাসরি উচ্চারিত হয়েছে

الحروف القمرية   (আল হুরুফুল ক্বমারিয়্যাহ) ১৪ টি যথা-

ا ـ ب ـ ج ـ ح ـ خ ـ ع ـ غ ـ ف ـ ق ـ ك ـ م ـ ه ـ و ـ ى

এখন প্রশ্ন হতে পারে الحروف الشمسية   الحروف القمرية   মিলে মোট (১৪+১৪) ২৮ টি বর্ণ কিন্তু আরবিতে তো ২৯ টি বর্ণ তাহলে আরেকটি বর্ণ গেলো কোথায়?

হ্যাঁ, জেনে রাখা ভালো যে আরবিতে ا ء দুটি বর্ণ একই (ا) আলিফ লিখায় আসে কিন্তু সাধারণত পড়ায় আসে না, যখনই আমরা আলিফকে পড়তে যাবো তখনই তাতে যবর, যের, পেশ, সাকিন যাই দেই না কেন তখন আলিফ আর আলিফ থাকে না, বরং তা হামযা (ء) হয়ে যায় তাই পড়ার সময় আরবি বর্ণমালা ২৮ টিই হয়ে থাকে

আরও একটা বিষয় লক্ষণীয়.......

ج ـ ذ ـ ظ এই টি বর্ণের ২টি হুরুফুশ শামসিয়্যাহ এবং ১টি হুরুফুল ক্বমারিয়্যাহ কিন্তু বর্ণ ৩টির উচ্চারণ প্রায় একই রকম তাই উচ্চারণের সময় খেয়াল রাখা দরকার যে ج দ্বিত্ব হবে না বরং লাম উচ্চারিত হবে

উদাহরণ আনা যাক......

ج = الجبال ( জিবাল) অর্থ= পাহাড়

ذ = الذباب ( জুবাব) অর্থ= মাছি

ظ = الظلمة ( জুলুমাত) অর্থ= অন্ধকার

উচ্চারণগুলো লক্ষনীয়

তবে হ্যা, বাংলায় কিন্তু আরবি হরফগুলোর যথাযথ উচ্চারণ লেখা সম্ভব নয়। তাই আমাদের আরবি হরফ গুলোর মাখরাজ জানা জরুরী। সহি শুদ্ধ কুরআন পড়তে জানে অথবা কোন হাফেজের নিকট থেকে সহি উচ্চারণ শিখে নিতে হবে। অবশ্য অনলাইনে এ বিষয়ে অনেক ভিডিও পাওয়া যায়।  ভিডিও তে দেখলে শিখতে পারবেন কিন্তু কোথায় আপনার ভুল হচ্ছে তা ধরতে পারবেন না।

তাই আশেপাশের কোন জানা-শুনা, সহি শুদ্ধ তেলাওয়াত কারীর নিকট থেকে শিখে নেওয়াই উত্তম।


Previous Part Next Part



Post a Comment

0 Comments