নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় -০৭ ( খুশু এবং নামাজের সামনে প্রতিবন্ধক)
নামাজের সামনে প্রতিন্ধক থাকা এবং এর নিকটবর্তী হওয়া নামাজে খুশু সৃষ্টি করে। কারণ, এটা নামাজীর দৃষ্টির প্রসারতাকে সংকুচিত এবং সীমিত করে, শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করে এবং নামাজীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তি থেকে দূরে রাখে। অন্যথায় নামাজে অমনোযোগ সৃষ্টি হয় এবং নামাজী নামাজের পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, যখন তোমাদের কেউ নামাজ পড়ে, সে যেন সামনে প্রতিবন্ধক রাখে এবং এর কাছাকাছি হয়। (আবু দাউদ ৬৯৫, ১/৪৪৬, সহিহ আল জামে, ৬৫১)
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, নামাজের সময় তোমাদের কারো সামনে যদি প্রতিবন্ধক থাকে সে যে এর কাছাকাছি হয় । কারণ, এতে শয়তান তাকে বিরক্ত করতে ব্যর্থ হয়। (সহিহ আল জামে, ৬৫০)
কোন প্রতিবন্ধকের নিকটবর্তী হওয়ার নিয়ম হলো সিজদার জায়গা হতে সোয়া চার থেকে সোয়া ছয় ফুট (৪
রাসূলুল্লাহ (সা)
যে কোন নামাজীকে তার এবং প্রতিবন্ধকের মধ্য দিয়ে কাউকে যাতায়াত করতে দিতে বাধা দিতে বলেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা)
বলেন, যখন তোমাদের
কেউ নামাজ পড়ে সে যেন তার সামনে দিয়ে কাউকে যেতে না দেয়। এবং তার উচিত সর্বশক্তি দিয়ে ঐ যাতায়াতকারী ব্যক্তিকে বাধা দেওয়া। এরপরও যদি ঐ ব্যক্তি নামাজীকে উপেক্ষা করে যাতায়াত করতে থাকে তবে নামাজীর উচিত তার সাথে যুদ্ধ করা, কারণ,
এরকম ব্যক্তির সাথে শয়তান থাকে। (মুসলিম,
১/২৬০)
আল্লামা আন নববী বলেন, প্রতিবন্ধকতা ব্যবহারের বিচক্ষণতা হলো দৃষ্টিকে
অবনত করা, এর সীমানা
অতিক্রম না করা, তোমার সামনে
দিয়ে যে কারো গমনকে নিবৃত্ত করা এবং নামাজ নষ্ট ও বিভ্রান্তকারী শয়তানের যাতায়াত প্রতিরোধ করা। (সহিহ আল
মুসলিম, ৪/২১৬)
0 Comments