লোক দেখানো (রিয়াযুক্ত) সালাত/নামাজের পরিণতি
উত্তরঃ
লোক দেখানো সালাত/নামাজ দাজ্জালের চেয়েও বড় ফিতনা।
আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় আমরা মসীহ দাজ্জাল প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলাম, সে সময় আমাদের মাঝে রাসূল করীম (সা) উপস্থিত হলেন এবং আমাদের কথা শ্রবণ করে তিনি বললেন, আমি তোমাদের দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর একটি ফিতনা প্রসঙ্গে জানাব? জবাবে আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন, তখন রাসূল (সা) বললেন, শিরক দাজ্জালের ফিতনার চেয়েও অধিক ভয়ংকর। আর তা হচ্ছে, এক ব্যক্তি সালাতের/নামাজের জন্য দাঁড়াবে এবং অন্য কেউ তার সালাতের/নামাজের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে দেখে সে সালাত/নামাজ কে দীর্ঘ করবে।
বিয়ে ও ঈদ বাদে অন্য সময় দুফ বাজানো
খেলাধুলা বিয়ে ও ঈদের সময় ‘দুফ’ বাজিয়ে ছোট ছোট মেয়েরা বৈধ গীত গাইতে পারে। অন্য খুশীর উপলক্ষ্যেও কি অনুরূপ দুফ বাজিয়ে গীত গাওয়া যায়?
বিয়ে ও ঈদ ছাড়া অন্য কোন খুশীর উপলক্ষ্যে ‘দুফ’ বাজানো বৈধ নয়। একদা কোন যুদ্ধ থেকে মহানবী ﷺ বিজয়ী হয়ে ফিরে এলে একটি কৃশকায় দাসী এসে বলল, ‘(হে আল্লাহর রাসুল!) আমি নযর মেনেছিলাম যে, আপনি ভালভাবে ফিরে এলে আমি আপনার কাছে দুফ বাজাব।’ নবী ﷺ বললেন, “তুমি যদি নযর মেনে থাকো, তাহলে তা পুরা কর। আর না মেনে থাকলে তা করো না।” সুতরাং দাসীটি দুফ বাজাতে থাকল। ইতিমধ্যে আবু বাকর এসে প্রবেশ করলেন। তখনও সে বাজাতে থাকল। অন্য কেউ এসে উপস্থিত হলেও সে বাজাতে থাকল। অবশেষে উমার প্রবেশ করলে দুফটাকে সে নিজ পেছনে লুকিয়ে কাপড়ে মুখও লুকাতে লাগল। তা দেখে আল্লাহ্র রাসুল ﷺ উমারের উদ্দেশ্যে বললেন, “শয়তানও তোমাকে ভয় পায় হে উমার!” (আহমাদ, তিরমিযী, সিঃ সহীহাহ ১৬০৯ নং)
উক্ত হাদিস থেকেও বুঝা যায় যে, বিয়ে ও ঈদ ছাড়া অন্য উপলক্ষ্যে দুফ বাজানো বৈধ নয়। অবশ্য নযর পালন করা ও সে ব্যাপারে নবী ﷺ এর অনুমতি দেওয়া এ কথার দলীল যে, এ কেবল তার ফিরে আসার জন্য নির্দিষ্ট। যেহেতু তার নিরাপদে ফিরে আসার বিষয়টি ঈদ ও বিয়ের চাইতেও বেশি খুশীর বিষয়। (আলবানী)
আবদুল হামীদ ফাইযী
0 Comments