বায়তুল মোকাররম (বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ)

বাংলাদেশের বৃহত্তম মসজিদ

বায়তুল মোকাররম (বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ)

বায়তুল মোকাররম বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। ৮ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদটি ঢাকার পল্টনে অবস্থিত। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬০ সালে। মসজিদে একসাথে ৩০,০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারত, ফলে ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম মসজিদ।  তবে, বর্তমানে মসজিদটির ধারণক্ষমতা ৪০,০০০।
মসজিদটির আয়তন ২৬৯৪.১৯ বর্গ মিটার এবং উচ্চতা (সর্বোচ্চ) ৩০.১৮ মিটার।


সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি প্রথম ঢাকাতে বিপুল ধারণক্ষমতাসহ একটি বৃহত্তর মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। ১৯৫৯ সালে ‘বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে মসজিদটির জন্য ৮.৩০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। স্থানটি নগরীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র থেকেও ছিল নিকটবর্তী। সেই সময় মসজিদের অবস্থানে একটি বড় পুকুর ছিল। যা 'পল্টন পুকুর' নামে পরিচিত ছিল। পুকুরটি ভরাট করে ২৭ জানুয়ারি ১৯৬০ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান মসজিদের কাজের উদ্ভোধন করেন।

বায়তুল মোকাররম
- চারপাশের ডিজাইন -


সিন্ধুর বিশিষ্ট স্থপতি আব্দুল হুসেন থারিয়ানিকে মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশার জন্য নিযুক্ত করা হয়। পুরো কমপ্লেক্স নকশার মধ্যে দোকান, অফিস, গ্রন্থাগার ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবার পর শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালে প্রথমবারের জন্য এখানে নামাজ পড়া হয়।

বায়তুল মোকাররম
- বাইরের দৃশ্য -

এই মসজিদটিতে মুগল স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি বেশ কিছু আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শনও রয়েছে। মক্কাতে অবস্থিত কাবার অনুরূপে তৈরিকৃত বায়তুল মোকাররমের বৃহৎ ঘনক্ষেত্রটি একে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। যা এই মসজিদটিকে বাংলাদেশের অন্য যেকোন মসজিদ থেকে আলাদা করেছে।






Post a Comment

0 Comments