প্রশ্ন: মৃত মানুষের পাশে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা বৈধ কি না?
উত্তর: আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল, মৃত মানুষের পাশে কুরআন পড়ার কোনাে সুবিধা আছে কি না! বিষয়টা কি এমন যে আজীবন কুরআন শুনতে পায় নি, অনেক ব্যস্ত ছিল দুনিয়ায়, এখন মরার পরে অখণ্ড অবসর; তাই আমি কুরআন পড়ছি আপনার পাশে, আপনি মরে গিয়ে শুনছেন! আল্লাহ তাআলা কি মরা মানুষের শােনার জন্য কুরআন নাযিল করেছেন? এটা আমার প্রশ্ন। আসলে জীবিত মানুষের মৃত আত্মকে জীবন্ত করার জন্য আল্লাহ কুরআন দিয়েছেন,
أومن كان ميتا فأخيناه وجعلنا له تورا يمشي به في الناس
তার অন্তর মৃত ছিল, কুরআনের নূরে সে আলােকিত হবে। [সূরা আনআম, আয়াত- ১২২]
কাজেই মৃত মানুষের পাশে কুরআন পড়া, এটা ইসলামের মূল চেতনার পরিপন্থী । দ্বিতীয়ত মৃত মানুষের পাশে কুরআন পড়লে কোনাে সােয়াব বা বরকত হয়, এটা কুরআন-হাদীসে কোথাও নেই। তৃতীয়ত রাসূল (সা) এবং সাহাবিদের জীবনে অগণিত মানুষ মারা গিয়েছেন, কেউ মৃত মানুষের পাশে কুরআন পড়ান নি। তবে মৃতপথযাত্রী, এখনাে জীবিত আছেন, মৃত্যুবরণ করবেন এমন মানুষের কাছে সূরা ইয়াছিন পড়ার কথা একটা হাদীসে এসেছে । হাদীসটা সনদগতভাবে দুর্বল । কিন্তু মরার পরে তার পাশে কুরআন পড়া, এটা কুরআনকে এক ধরনের অবজ্ঞা করা। এটা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।
প্রশ্ন: আমরা অনেকেই সন্তানের নাম রাখার সময় খুব আনকমন নাম রাখার চেষ্টা করি। আনকমন নাম রাখার ভেতর কি কোনাে ফযীলত আছে?
উত্তর: রাসূল (সা) বলেছেন:
أحب الأسماء إلى الله تعالى عبد الله، وعبد الرحمن
আব্দুল্লাহ, আব্দুর রাহমান, এই দুটো আল্লাহ তাআলার প্রিয়তম নাম। [মুসলিম-২১৩২; তিরমিযি-২৮৩৩; আবু দাউদ-৪৯৪৯; তাবারানি, আল মু'জামুল কাবীর-৯৪৯] তাই এই জাতীয় নাম রাখা উচিত।
তথ্যসূত্র: জিঙ্গাসা ও জবাব ১ম খন্ড (ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর)
0 Comments